জিম্বাবুয়ে সফরে টাইগারদের একমাত্র টেস্ট শুরু কাল। কিন্তু দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। ১৭ই জুনের পর ইনজুরির কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার সুপার লীগে খেলা হয়নি তার। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পর্ব শেষ করেই তিনি চলে যান বিশ্রামে। সেই সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিক্যাল বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ৭ দিন বিশ্রাম নিয়ে মাঠে ফিরবেন তিনি। তবে পরে আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয় তার বিশ্রাম। টানা ১৬ দিন তিনি ছিলেন বিশ্রামে। হারারেতে গত শনিবার শুরু হওয়া দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেছেন তামিম।তবে এরপরও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে তার আরো বিশ্রামের প্রয়োজন নয়তো অধিনায়কের ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেয়াই পড়বে শঙ্কার মধ্যে। তাই প্রশ্ন তিনি কি টেস্ট খেলবেন না? এ বিষয়ে জিম্বাবুয়েতে দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম মুঠোফোনে দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘তামিম প্রস্ততি ম্যাচে ব্যাট করেছেন। তিনি এর আগে বিশ্রামে ছিলেন। এখন তাকে টেস্টে বিশ্রাম দেয়া হবে কিনা এমন কিছু হলে বিসিবি অফিসিয়ালিই জানাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। আর যেসব সংবাদ হয়েছে তিনি (তামিম) খেলবেন না, সেটা কিন্তু বিসিবির কোনো অনুষ্ঠানিক বক্তব্য নয়।’
অন্যদিকে তামিম ইকবালের ইনজুরি নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী নতুন করে কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘তামিম এখন জিম্বাবুয়েতে আছে। সেখানে তার অবস্থা কি সেটি টিম ম্যানেজম্যান্টই বলতে পারবে। ইনজুরি বা খেলতে পারবে না এমন কিছু আমাকে এখনো জানানো হয়নি। তারতো নতুন করে কোনো ইনজুরি নেই। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে যে চোট ছিল সেটির জন্য তাকে দুই সপ্তাহ বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল। এখনতো ১৬ দিনের বেশি পার হয়ে গেছে। আর সে খেলেছেও প্রস্তুতি ম্যাচে। বিষয়টি হচ্ছে এখন যদি তার কোনো সমস্যা হয় তাহলে আরো বিশ্রাম প্রয়োজন হতে পারে। সেটি হলে টেস্ট ম্যাচের আগে দলের মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। আরেকটা বিষয় হলো তার যে ইনজুরি তাতে অপারেশন বা অন্য কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু বিশ্রাম নিলেই হয়ে যাবে! আরেকটা বিষয় তামিমতো তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলছেন। এখন দেখা যাক কী হয়!’ জানা গেছে তামিমকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিবিও। কারণ, জিম্বাবুয়ে সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইসিসির ওয়ানডে সুপার লীগের লড়াই। যার নেতৃত্ব্ দেবেন তামিম। তাই টেস্ট খেলিয়ে ঝুঁকি নেয়ার পক্ষে নয় বিসিবিও। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে সিদ্ধান্ত এই তারকা ওপেনারের হাতেই।
এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ চলাকালে নিচের ইনজুরির কথা জানিয়ে তামিম ইকবাল নিজেই সুপার লীগে থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘ডান হাঁটুর মিনিস্কাসে ব্যথা নিয়েই শেষ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার। কয়েকদিন বিশ্রামের পর পুনর্বাসন শুরু হবে। আশা করি জিম্বাবুয়েতে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবো।’
২০১৩ তে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখানে ২-১ এ সিরিজ হারে টাইগাররা। তিন ম্যাচ খেলেন তামিম। প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। দ্বিতীয়টিতে ৬ এবং সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৩২ রান। তিন ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল মোট ৬৫ রান। এর আগে ২০১১ তে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেবার তামিম ছিলেন সহঅধিনায়ক। সেখানে ৩-২ সিরিজ হারের পর দুইজনকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিসিবি।