খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের হারও বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৬৫ জনের। এর আগে সোমবার বিভাগে সর্বোচ্চ ৫১ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৪৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
মঙ্গলবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু হয় খুলনায়। এছাড়া কুষ্টিয়ায় ১৩ জন, যশোরে ছয়জন, মেহেরপুরে তিনজন, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা যান।
গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪৯ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭৫ জনের। মারা গেছেন ৩২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৭০২ জন।
অপরদিকে খুলনা মহানগরীর হাসপাতালগুলোয় আগের ২৪ ঘণ্টার মতো করোনা ও উপসর্গে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আটজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঁচজন ও বেসরকারি গাজী হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজন ও উপসর্গে চারজনের মৃত্যু হয়। করোনায় মৃতরা হলেন, খুলনা মহানগরীর চানমারী এলাকার মমতাজ বেগম (৫৫), খালিশপুরের রহিমা পারভীন, সোনাডাঙ্গার মনোয়ারা বেগম (৫০) ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের সুব্রত পাল (৪৫)।
গাজী হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা: গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নগরীর বড় বয়রা এলাকার নোভা রাণী দাশ (৭৫), ডুমুরিয়া উপজেলার নজরুল ইসলাম (৬৮), পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির শোভা রানী সাহা (৭৫) এবং বাগেরহাট সদরের মাহমুদা বেগম (৫৫) মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে ১০০ বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩৪ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নগরীর খালিশপুরের জিল্লু মিয়া (৬৫), রূপসা উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৫২) ও রহিমনগর গ্রামের আমির হোসেন (৬৫), বাগেরহাট ফকিরহাট উপজেলার শারমিন বেগম (৪৫) এবং একই এলাকার মারিয়া খাতুন (৩৯) মারা গেছেন।
এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা: প্রকাশচন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কেউ মারা যাননি, ৪৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন।