২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৫২
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৫২

২৩৭ রানের লিড বাংলাদেশের

হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ২৩৭ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪৬৮ রান। জবাবে ২৭৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।

শুক্রবার তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৪৫ রান করেছে মুমিনুল শিবির।

আগের দিনে ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামে জিম্বাবুয়ে। অভিজ্ঞ টেইলরের সাথে দারুণ মেজাজে ব্যাট করেন অভিষেকে নামা কাইতানো। সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন টেইলর। শেষ পযন্ত তাকে ফেরান স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। বলে-ব্যাটে ঠিক মতো হয়নি। লেগে ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার ইয়াসিরের হাতে। ৯২ বলে ওয়ানডে মেজাজে ৮১ রান করে টেইলর ফেরেন সাজঘরে। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কার মার।

এরপর আরেক অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ডিওন মায়ার্সের সাথে রসায়ন জমে যেতে শুরু করেছিল কাইতানোর। দ্বিতীয় সেশনে এসে এই জুটিতে বাধ সাধেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তার জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সাথে যোগ দেন তাসকিন। মাত্র চার রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

দলীয় ২২৫ রানের মাথায় ডিওন মায়ার্সকে ফেরান সাকিব। সুইপ করতে গিয়ে মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৬৫ বলে এক চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি। ওভার তখন চলে ৭৯.৬। এরপর পেরিয়া যায় ৬ ওভার। রান আসে মাত্র তিনটি। ৮৭ ওভারের দ্বিতীয় বলে মারুমাকে এলবির শিকার বানান সাকিব। বেচারা ১৭ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

পরের ওভারে রয় কাইয়াকে উইকেটের পেছনে লিটনের ক্যাচ বানান তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে কাইয়াও রানের খাতা খুলতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের রান তখন ২২৯/৫। শেষের ঝলকটা দেখান ঘুর্ণি বলে মেহেদী হাসান মিরাজ। তুলে নেন তিন উইকেট। শেষ ব্যাটসম্যান এনগারাভাকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে জিম্বাবুয়েকে অল আউট করেন সাকিব। চাকাভা ৩১ রানে থাকেন অপরাজিত। পরের কোন ব্যাটসম্যান ছুতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। দুই স্পিনারের দারুণ বোলিংয়ে ১৫ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

অভিষেকে সেঞ্চুরির স্বপ্নটা পূরুণ হয়নি কাইতানোর। ৩১১ বলে ৮৭ রান করে তিনি মিরাজের শিকার। জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেকে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা ওপেনার এখন কাইতোনাই। পেছনে পড়ে গেছে ১৯৯২ সালে করা গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের ৮২।

বল হাতে পাচ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। ২৭ টেস্টে ৫ উইকেট পেলেন তিনি অষ্টমবার, দেশের বাইরে দ্বিতীয়। ৪ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। এক উইকেট পান তাসকিন। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার আছেন অপরাজিত। সাদমান ও সাইফ দুজনই ৫২ বল খেলেছেন। সাদমানের রান ২২, সাইফ ২০।

Facebook
Twitter
LinkedIn