২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩০
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ২:৩০

সাদমান-শান্তর সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে বাংলাদেশ

টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন সাদমান ইসলাম। হারারে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এই ওপেনার। সাদমানের পর টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। দুজনের সেঞ্চুরির সুবাদে বড় লিডের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে আগের দিনে বিনা উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ২২ রানে সাদমান ও ২০ রানে সাইফ হাসান ছিলেন অপরাজিত। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই দুজনই ছিলেন বেশ ছন্দে। রান করতে থাকে ভালোই। সাদমানের ফিফটির পর এগুচ্ছিলেন সাইফও। কিন্তু পারেননি তিনি। দলীয় ৮৮ রানের মাথায় এনগারাভার বলে মায়ার্সের হাতে ক্যাচ দেন সাইফ। ৯৫ বলে ছয় চারে ৪৩ রান করে ফেরেন তিনি সাজঘরে।

নতুন সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্তকে সাথে করে এগিয়ে যেতে থাকেন সাদমান ইসলাম। ১০১ বলে ফিফটি করা সাদমান শতক স্পর্শ করেন ১৮০ বলে, যার মধ্যে ছিল আটটি চারের মার।

ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে প্রথম শতকের দেখা পেলেন সাদমান। এর আগের তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৭৬ রানের। সেটাও অভিষেক টেস্টে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। ১৯৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে মাত্র ছয়টি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এবার শতকের ম্যাচে সাদমান আরো পরিণত, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রথম ইনিংসে ২৩ রানে ফিরলেও দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের বিশেষত্ব দেখাচ্ছেন তিনি।

পানি পানের বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১ উইকেটে ২৬১ রান। লিড দাঁড়ায় ৪৫৩ রানে। ১০৮ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত বিরতির পর দেখা পান সেঞ্চুরি। ১০৯ বলে শতক পূর্ণ করেন শান্ত। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চলতি বছরের এপ্রিলে, ১৬৩ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৭৫ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ৪৬৭ রানে। ১১৩ রানে সাদমান ও ১১০ রানে শান্ত আছেন অপরাজিত।

Facebook
Twitter
LinkedIn