২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৪৭
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৪৭

এবার যেভাবে বেচাকেনা হবে কোরবানির পশুর হাটে

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্দ্বমুখী। সর্বাত্মক লকডাউন দিয়েও সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। মানুষের চলাচল কাঙিক্ষত মাত্রায় কমেনি। সড়ক, হাঁটবাজারে লোকজনের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় দফার সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে ১৪ জুলাই। কঠোর লকডাউন বাড়বে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

২১ জুলাই ঈদুল আযহা। ১৪ জুলাইয়ের পর মাত্র ৬ দিন থাকে ঈদের আগে। এই সময়ে কোরবানির পশুর হাট কীভাবে পরিচালিত হবে সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারি ও সাধারণ মানুষ।   

এ বিষয়ে রোববার প্রশ্ন করা হয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।  আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এবার করোনা এমনভাবে ছড়িয়েছে যা ভয়াবহ। এ প্রক্রিয়া (চলমান কঠোর বিধিনিষেধ) অব্যাহত রাখতে হবে। ঈদ ও কোরবানির পশুরহাট একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার। ডিজিটাল পশুরহাটের পাশাপাশি সারা দেশে স্বাভাবিক হাটও বসবে। করোনার কারণে বাউন্ডারিযুক্ত খোলা মাঠে পশুরহাট বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে। 

পশুর হাট বসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ৬ দিন হাট বসবে। হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে আসতে হবে। হাটের ৩টি পথ থাকবে। এর একটি দিয়ে পশুসহ প্রবেশ করবে। একটি দিয়ে ক্রেতা প্রবেশ করবে এবং অপরটি দিয়ে ক্রেতা বের হয়ে যাবে। মৃত্যু ও সংক্রমণ মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে। হাটের সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেভাবেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবার ঈদে গ্রামে এত সংক্রমণ ছিল না। এবার গ্রামে সংক্রমণ বেশি। তাই সবাইকে ঈদে গ্রামে যেতে নিরুৎসাহিত করা হবে। নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে। এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার রাতে এ বিষয়ে বৈঠক হবে, তারপর জানানো হবে। সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোরতা থাকবেই। সংক্রমণ ৫ শতাংশের মধ্যে না আসা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা অকারণে বের হবে তাদের জরিমানাসহ গ্রেফতার করা হবে। 

পোশাক শ্রমিকদের ঈদে বাড়ি ফেরার বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য তাদের ছুটি দিতে ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। এবার ঈদে যেন তারা গ্রামে না যায়, সে ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। করোনা কমাতে গ্রামে গ্রামে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn