২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৪৬
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৪৬

সিডনিতে আরও ২ সপ্তাহ বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ

চলমান লকডাউনের মধ্যেও অবনতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের করোনা পরিস্থিতির। এর জের ধরে শহরটিতে আরও দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের মেয়াদ ১৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। মেয়াদ বাড়ানোর পর এখন তা চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিয়া লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর এক দিন আগে ৮৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলে।

প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিকলিয়া বলেন, ‘এমন ঘোষণা দেওয়া খুব বেদনাদায়ক। তবু আমাদের কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে।’ গত ২৬ জুন থেকে সিডনিসহ আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলে বিধিনিষেধের নির্দেশনা জারি করা হয়।

বেরেজিকলিয়া আরও বলেন, ‘আমাদের কেউই এমন পরিস্থিতি চাই না। তবে সবাইকে নিরাপদে রাখা আমাদেরই দায়িত্ব।’

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার আরও বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের বাইরে আরও অনেক উপায় রয়েছে। তবে এটাও জেনে রাখবেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।’

লকডাউনের মধ্যে সিডনির বাসিন্দারা কেনাকাটা, চিকিৎসা, ব্যায়ামসহ জরুরি কাজে ঘর থেকে বের হতে পারবেন। তবে বন্ধ থাকবে স্কুলগুলো। সেখানে অকারণে মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সংক্রমণের লাগাম টানতে সিডনিকে অস্ট্রেলিয়ার বাকি অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। শহরটির বাসিন্দাদের দেশের অনেক প্রদেশ ও শহর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সরবরাহে ঘাটতিসহ নানা কারণে অস্ট্রেলিয়ায় টিকাদান কর্মসূচি বেশ ধীরগতিতে চলছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ করোনার টিকার দুই ডোজ পেয়েছেন।

সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্তও। চলতি বছরের শেষের আগে তা খুলে দেওয়া হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩১ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯১২ জনের।

Facebook
Twitter
LinkedIn