২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৯
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:২৯

হজ শুরু : এবার যা মানতে হবে হাজীদের

পবিত্র কাবা তাওয়াফের মধ্য দিয়ে এই বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন হাজীরা। শনিবার থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে হাজীরা মক্কার মসজিদুল হারামে অবস্থিত কাবা তাওয়াফ করেন।

রোববার মক্কা থেকে পূর্বে মিনায় অবস্থানের মাধ্যমে এই বছর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন হাজীরা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এই বছরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ভাইরাস সংক্রমণে সতর্কতায় এই বছর করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়া মাত্র ৬০ হাজার আবেদনকারী হজের অনুমতি পেয়েছেন। সৌদি আরবের বাইরে থেকে এই বছরও কোনো আবেদনকারীকে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। শুধু ১৫-৬৫ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে বাস করা ১৫০ দেশের নাগরিক হজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

এই বছর হজ পালনে হাজীদের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে,

মক্কায় পৌঁছার পরপরই হাজীরা কাবায় তাওয়াফ সেরে নিবেন। এই সময় তারা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করবেন এবং সবসময় ফেস মাস্ক পরে থাকবে।

হজের পুরো সময় হাজীরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব রক্ষা ও ফেস মাস্ক পরার নিয়ম মেনে চলবেন।

তাওয়াফের পর তারা মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন এবং জমজমের পানি পান করবেন। মসজিদুল হারামে স্বয়ংক্রিয় সাদা-কালো রোবট ঘুরে ঘুরে হাজীদের মাঝে জমজমের বোতলজাত পানি সরবরাহ করবে। মোট ২০টি রোবট হাজীদের পানি সরবরাহ করার জন্য বর্তমানে মসজিদুল হারামে নিযুক্ত রয়েছে।

জমজমের পানি পানের পর, হাজীরা সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সাতবার সায়ী (প্রদক্ষিণ) করবেন।

রোববার সারাদিন হাজীরা মক্কা থেকে পূর্বে মিনায় গিয়ে অবস্থান করবেন। এই বছর দুই শ’ বাসে করে হাজীদের মসজিদুল হারাম থেকে মিনায় নিয়ে যাওয়া হবে।

মিনায় পৌঁছার পরপর তাদের স্থান নির্ধারণের জন্য হাজীদের টোকেন দেয়া হবে, যাতে টোকেন অনুসারে নির্ধারিত অবস্থানে গিয়ে হাজীরা ভিড় এড়িয়ে হজ পালন করতে পারেন।

সোমবার সকালে হাজীরা আরাফাতের ময়দানে হাজির হবেন এবং সেখানে সারাদিন অবস্থান করে ইবাদতে সময় কাটাবেন।

সন্ধ্যায় হাজীরা আরাফাত ও মিনার মাঝামাঝি মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন করবেন। সেখানে তারা মিনায় জামরাতে শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য নুড়িপাথর সংগ্রহ করবেন।

মঙ্গলবার ঈদুল আজহার প্রথম দিন মিনায় হাজির হয়ে তিনটি জামরায় শয়তানকে প্রতীকি পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজীরা। জামরায় ভিড় এড়াতে নির্ধারিত দূরত্বে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে হাজীরা পাথর নিক্ষেপ করবেন।

পরে হাজীরা চুল কাটাসহ অন্যান্য কাজের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।

সূত্র : আল-আরাবিয়া

Facebook
Twitter
LinkedIn