দ্বিতীয় চালানে চীনের সিনোফার্মের আরো ১০ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকাবাহী বিমানটি অবতরণ করে। এর আগে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে এই চালানের প্রথম ১০ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছায়। অর্থাৎ দুই চালানের সিনোফার্মের মোট ২০ লাখ টিকা ঢাকায় এলো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চীন থেকে দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। টিকাগুলো সিরামের টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার ওয়্যার হাউসে রাখা হবে।’
‘পরে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জায়গায় টিকা পৌঁছে দেবে। যেহেতু জেলা-উপজেলায় সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে তাই টিকাগুলো এখান থেকে জেলা-উপজেলায় পাঠানো হবে।’
এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই চীন থেকে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছায়। চীনের সিনোফার্ম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছে সরকার। ধাপে ধাপে আসবে এসব টিকা।
কেনা টিকার বাইরে চীন উপহার হিসেবে দুই দফায় বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ ও মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।
আগামী সোমবার কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার উৎপাদিত আরো ৩৫ লাখ ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। সোমবারই টিকাগুলো দেশে পৌঁছাবে।
মাঝে কিছু দিন দেশে টিকা সংকট দেখা গেলেও বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা আসতে থাকায় সেই সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। টিকা পেতে দেশে শুক্রবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার ১৬৫ জন।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণটিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে দেশে শুরু হয় গণটিকাদান। ভারতের প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে এ টিকা কিনেছে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সিরাম এখন পর্যন্ত টিকা সরবরাহ করেছে ৭০ লাখ।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে টিকা স্বল্পতার কথা জানিয়ে রপ্তানি বন্ধ রেখেছে সিরাম। এমন বাস্তবতায় চীন, রাশিয়ার টিকা আমদানির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ।