২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৩৮
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৩৮

দেশের ছয় বিভাগে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় থাকায় রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলেছে, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে ।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার, অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে সর্বোচ্চ ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইলে ৬২, গোপালগঞ্জে ৫৭, কুমারখারীতে ৫২ ও শ্রীমঙ্গলে ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ সময় ঢাকায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এছাড়া পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এছাড়া সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গোপালগঞ্জে ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাড়াশে ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৫শতাংশ।

শুক্রবার ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬ টা ৩৮ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে

Facebook
Twitter
LinkedIn