২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:২৭
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৭:২৭

যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে যুবলীগ থেকে অব্যাহতি

বলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে।  

শনিবার রাতে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য তাকে অব্যাহতি দেয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি দলীয় কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়েছিলেন সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন। “শুভ শুভ দিন শেখ কামালের জন্মদিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” ওই স্লোগানের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে স্লোগান দেয়ায় ওসি সরকারি বিধিমালা ১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন এমন কথাও বলেন কেউ কেউ। 

এই ঘটনার পর যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সুমন সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেন। ৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ওসির এই স্লোগানের নিন্দা জানান ব্যরিস্টার সুমন। আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক স্লোগান ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেনের তীব্র সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। যে কারণে তাকে যুবলীগের পদ থেকে অব্যাহতি পেতে হলো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।  

ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেছিলেন, ‘শেখ কামাল সাহেবের জন্মদিনে শরীয়তপুরের পালং থানার ওসি আক্তার হোসেনের আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই জিনিসটা দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে দু-একটা কথা বলা দরকার। আওয়ামী লীগের স্লোগান দেয়ার মানুষ কী এতই কম যে একজন ওসি সাহেবের এই স্লোগান দিতে হবে। আমি খেয়াল করে দেখলাম যে উনি বলছেন আবেগ থেকেই স্লোগান দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, আপনি যখন সরকারি দায়িত্বে থাকবেন কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আবেগ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে পানিশমেন্ট নিয়ে আসা উচিত। কিন্তু তিনি এখনো ওই জায়গাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন।’

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে দল ও মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা স্লোগানের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

এর আগেও এমন ‘অতিবিপ্লবী আচরণ’-এর জন্য ব্যরিস্টার সুমনকে যুবলীগ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছিল। তবে সেই শোকজের ‘সঠিক’ জবাব সুমন দিতে পারেননি বলে যুবলীগ থেকে জানানো হয়। 

শনিবার রাতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন অ্যাহতির বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, যুবলীগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার কথা তিনি শুনেছেন। তবে এখনো কোনো চিঠি পাননি। চিঠি পাওয়ার পরই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। 

Facebook
Twitter
LinkedIn