২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:৩০
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:৩০

মুজিব আদর্শে জীবন উৎসর্গ করেছেন বঙ্গমাতা : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাশে থেকে নীরবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কাজে সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে গেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি ছিলেন সবচেয়ে বড় গেরিলা। ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

রবিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিয়ো কানফারেন্স এর মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা গেরিলাযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমি সবসময় বলি, আমার মা ছিলেন সবচেয়ে বড় গেরিলা। তিনি গোপনে গিয়ে ছাত্রদের সাথে দেখা করতেন, দিকনির্দেশনা দিয়ে আসতেন। আমাদের বাড়িতে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও হয়েছে। ৬ দফা ছেড়ে অনেক নেতা চলেও গেছেন। আমার মা তখন খুব শক্ত ছিলেন ৬ দফার পক্ষে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে পরিবারে জন্ম নিয়েছেন, পড়াশোনা করে অনেক বড় জায়গায় যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তাকে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন আমার মা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। সংকটে-সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার মায়ের যদি নানা রকম চাহিদা থাকতো। স্বামীর কাছে মানুষের নানা ধরনের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা থাকে। অনেক কিছু পাওয়ার থাকে। আমার মার, বাবার কাছে কোনো কিছুর চাহিদা ছিল না। তিনি সবসময় বলতেন, তুমি দেশের কথা চিন্তা করো। আমাদের কথা ভাবতে হবে না। প্রেরণাটাই দিয়ে গেছেন। আমার মায়ের যে অবদান রয়েছে, এ দেশের রাজনীতিতে, শুধু তাই না, বাংলাদেশের মানুষের অগ্রগতিতেও তার অবদান আছে।

দেশনেত্রী বলেন, আমার মায়ের অভ্যাস ছিল; বই কেনা। নিউমার্কেট থেকে তিনি বই কিনতেন। আমাদেরও নিয়ে যেতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, প্রতিটি মেয়ের শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং আর্থিক সচ্ছলতা দরকার। খালি অধিকার অধিকার বলে চিৎকার করলেই হবে না।

আরও পড়ুন : ১০ আগস্ট থেকে টিকা পাবে রোহিঙ্গারা

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা। এতে সচিব সায়েদুল ইসলাম, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেমন আরাসহ অনেকে অংশ নেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn