মাদকদ্রব্য ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের আবারো ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে মাদক মামলায় দুই দিন আর পর্নোগ্রাফি মামলায় চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বেলা সোয়া ১২টার দিকে চার দিনের রিমান্ড শেষে প্রযোজক রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। এছাড়া বনানী থানার পর্নোগ্রাফি আইনের করা মামলায় রাজকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক মাদক মামলায় দুই দিন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ রাজের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমণির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় পরের দিন পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে র্যাব একটি মামলা করে।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমণিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় রাজের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুইটি মামলা করে র্যাব।