২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:০৬
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:০৬

যে দেশে সেনা-পুলিশে নিয়োগের আগে ‘সতীত্ব’ পরীক্ষা করা হয়!

বিশ্বের অন্যতম বড় দ্বীপ দেশ ইন্দোনেশিয়া। এই দেশ যেমন পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা তেমনি আরও একটি কারণে বিশ্বের নজরে রয়েছে। সেখানে আজও ‘সতীত্বের পরীক্ষা’ দিতে হয় নারীদের!

ইন্দোনেশিয়ার নারীরা যদি পুলিশ বা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান, তা হলে যোগ্যতা পরীক্ষার পাশাপাশি  ‘সতীত্বের প্রমাণ’ দিতে হয়!

‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নামে পরিচিত এই পরীক্ষা শুধু নারীদের মানসিকভাবেই বিপর্যস্ত করে তোলে তাই নয়, অত্যন্ত অবৈজ্ঞানিক এই পদ্ধতিতে নারীদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। অথচ পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে গেলে পুরুষদের এমন কোনও প্রমাণ দিতে হয় না।

চিকিৎসক (পুরুষ এবং নারী নির্বিশেষে) নারীদের হাইমেন পর্দা সুরক্ষিত রয়েছে কি না পরীক্ষা করেন। পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ফলে এই পর্দাটি ছিঁড়ে যায়। পর্দা ঠিকঠাক না থাকা মানেই ধরে নেওয়া হয় ওই নারী যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। যদিও চিকিৎসকদের মতে, এই পর্দা আরও অনেক কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এই পদক্ষেপ নারীদের ওপর ১৯৬৫ সাল থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তখন থেকেই দেশের ভেতরে এবং বাইরে এ নিয়ে সরব হতে শুরু করেছিলেন নারীরা। নানা সময় এর সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন স্তরে।

আবার উল্টো দিকও রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর অনেক অফিসার আবার এর ‘গুরুত্ব’ বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বিশ্বকে। উচ্চপদস্থ অফিসারদের যুক্তি ছিল, একজন নারী যিনি সেনা হিসেবে দেশের সেবা করতে চান তাকে মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে অত্যন্ত দৃঢ় হতে হবে। তাদের দাবি, ‘সতীত্ব’ই নাকি কোনও নারীর দৃঢ় মানসিকতার পরিচয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn