আরো বাড়ানো হয়েছে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ৯৯৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩ টাকা করা হয়েছে।
প্রতি মাসের ন্যায় মঙ্গলবারও মাসের শেষ দিনে আগামী মাসের জন্য এ দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
অনলাইন ব্রিফিংয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো: আবদুল জলিল জানান, আমদানি মূল্য বাড়ায় দেশের বাজারে বাড়ছে এলপিজির দাম।
কয়েকমাস ধরেই চড়া এলপিজির বাজার। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সৌদি আরামকোর সাথে সমন্বয় করে দেশের বাজারে এর দাম নির্ধারণ করা হয়। তা কার্যকর হয় প্রতি মাসের প্রথম দিন থেকে।
উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে।
গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা। মঙ্গলবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ছাড়া মূল্য প্রতিকেজি ৮০ টাকা ৫৬ পয়সা এবং মূসকসহ মূল্য প্রতিকেজি ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি বোতলজাত করা এলপিজির মূসকসহ মূল্য ১ হাজার ৩৩ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।
এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। একে ভিত্তিমূল্য ধরেই দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
মো: আবদুল জলিল আরো বলেন, প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিটি কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫৬ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসক ব্যতিত মূল্য প্রতি লিটার ৪৭ টাকা ৩৫ পয়সা এবং মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৫৬ টাকা ৫৬ পয়সায় সমন্বয় করে আদেশ দেয়া হয়েছে।
আমদানি মূল্য কমলে দেশের বাজারে আবারো এলপিজির দাম কমবে বলে জানায় বিইআরসি।