গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীর অগোচরে ছয় মাস বয়সী মেয়ে সন্তানকে পাঁচ লাখ টাকায় বেচে দিয়েছিলেন শামীমা আক্তার (২৪) নামে এক মা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও স্ত্রী-সন্তানের হদিস না পেয়ে আদালতের দ্বারস্ত হন স্বামী জাহিদুল ইসলাম। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তৎপর হয়ে দুই মাস পর উদ্ধার করেছে শিশুটিকে।একই সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির মা শামীমা ও ক্রেতা নুরুজ্জামানকে (৪৫)।গ্রেফতারর হওয়া শামীমা বগুড়া সদর উপজেলার শাহীন মিয়ার মেয়ে। নুরুজ্জামানের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কাজিরচর গ্রামে।
সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে শামীমা ও নুরুজ্জামানকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার উপ-পরির্দক (এসআই) অংকুর কুমার ভট্টাচার্য।
অংকুর কুমার ভট্টাচার্য জানান, শিশুটির বাবা জাহিদুল ইসলামের অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালতের আদেশে ১ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর থানায় মামলা হয়। পরে শিশুটির বাবাকে সাথে নিয়ে রোববার দিবাগত রাতে নরসিংদীর পলাশ থানাধীন কাজীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। একই সাথে গ্রেফতার করা হয় পরে অভিযুক্ত মা ও নুরুজ্জামানকে।
জাহিদুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে শামীমাকে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর গত বছরের ডিসেম্বরে তার মেয়ের জন্ম হয়। মেয়ের বয়স যখন ছয়মাস তখন তিনি শিশু ও তার মাকে বাড়িতে রেখে চাকরির জন্য নরসিংদীতে যান।