২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:৫০
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:৫০

নায়িকাদের প্রেমের গুঞ্জন থাকবেই: দীঘি

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। মডেল ও অভিনেত্রী। সম্প্রতি তিনি একটি হিন্দি গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। এ ছাড়া নতুন একটি ছবিতে কাজ শুরু করছেন। নতুন ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

চারদিকে এত আওয়াজ। শুটিংয়ে…

না। আজ [সোমবার] প্রায় দেড় বছর পর ক্যাম্পাসে এসেছি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি। একটু পর শুরু হবে ক্লাস।

দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে কেমন লাগছে?

৫৪৪ দিন পর কলেজে গিয়ে মনে হলো- যেন কলেজের প্রথম দিন আজ। এত দিন পর ক্লাসে সব নতুন! মন খুলে কথা বলা, বন্ধুদের সঙ্গে কলেজ আঙিনায় হাঁটা! ব্যাপারটি অন্য রকম। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। চারদিকে উৎসবের আমেজ। অনেক দিন পর মন খুলে হাসতে পেরেছি। মনে হচ্ছে, সব স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছি।

এবারে ভিন্ন প্রসঙ্গ, ‘মুজিব ভাই’ ছবিতে তৃতীয়বারের মতো শেখ ফজিলাতুন নেছা রেণুর ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। একই চরিত্রে বারবার অভিনয় কতটা চ্যালেঞ্জিং?

‘মুজিব ভাই’ ছবির পাণ্ডুলিপি ভিন্নভাবে লেখা। তাই যত পড়ছি, তত মুগ্ধ হচ্ছি। নতুন করে জানতে পারছি শেখ ফজিলাতুন নেছা রেণু সম্পর্কে। যেহেতু আগে এই চরিত্রে অভিনয় করেছি, তাই নতুন করে অভিনয়ে কোনো ঝামেলা হবে না। ‘মুজিব ভাই’ চলচ্চিত্রে থাকছে জাতির পিতার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পাশাপাশি জেলজীবন। কঠিন এই সময়ে বঙ্গমাতার ভূমিকা কী- তা তুলে ধরা হবে সিনেমায়। বঙ্গমাতা যেমন ছিলেন, তেমনই ছবিতে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এটাই আমার বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম দুটি ছবিতে বঙ্গমাতা রেণুর ভূমিকায় অভিনয়ের পর দর্শকের কাছে ‘রেণু’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। কেউ কেউ আমাকে দীঘির বদলে রেণু বলে ডাকছেন।

আপনি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওয়েব মাধ্যমেও কাজ শুরু করেছেন…

হ্যাঁ। এবারই প্রথম একটি ওয়েব সিরিজের কাজ করলাম। নাম ‘শেষ চিঠি’। সুমন ধর পরিচালিত এ সিরিজে আমার সহশিল্পী ছিলেন ইয়াশ রোহান। সিরিজটি নির্মিত হয়েছে রোমান্টিক কমেডির গল্পে।

এবার বলুন হিন্দি গানের ভিডিওতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

প্রথমবারের মতো এ ধরনের মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছি। ক্যারিয়ারে শুরু থেকে মিউজিক ভিডিওর অনেক প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু রাজি হইনি। কারণ, আমি সব সময় চেয়েছি মানুষের মনে থাকবে এমন ব্যতিক্রমী কাজ। এরপর যখন আমার প্রিয় শিল্পী ন্যান্সি আপুর প্রথম হিন্দি গানের ভিডিওতে কাজের প্রস্তাব পেলাম, তখন রাজি হয়েছি। ‘হোটো পে নাম তেরা’ শিরোনামে এই গানটি লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ। এতে ন্যান্সির সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রেম। গত ২৭ আগস্ট মানিকগঞ্জের ফিল্ম ভ্যালিকে এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। ইভান মনোয়ারের পরিচালনায় এতে আমার সহশিল্পী ছিলেন ফারহান খান রিও। এখন এর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে।

আপনাকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে…

নায়িকাদের প্রেমের গুঞ্জন থাকবে, এটা স্বাভাবিক। মাঝেমধ্যেই আমার প্রেমের খবর চাউর হয়, যা আমি খুব উপভোগ করি। মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছি। সত্যি বলতে প্রেম নিয়ে এখনই ভাবছি না। প্রেম হলে আমি নিজেই জানিয়ে দেব [হাসি]।

আপনি সব সময়ই হাসিমুখে থাকেন। নিজেকে কীভাবে চিন্তামুক্ত রাখেন?

আমি ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ। তাই চেষ্টা করি ইতিবাচক থাকতে। ইতিবাচক থাকলে এমনিতেই হাসিখুশি থাকা যায়।

সাফল্য-ব্যর্থতা আপনাকে কতখানি প্রভাবিত করে?

মানুষের উত্থান-পতন জীবনেরই অংশ। ব্যর্থতা এলে ওই সময় পার করা কষ্টকর। জীবনের কঠিন সময় যদি ধৈর্য ধরে পার করা যায়, তাহলে সাফল্য-ব্যর্থতা মেনে নেওয়া সহজ হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn