২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:৫৭
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেষ দুই ওভারের রোমাঞ্চে জিতল মুস্তাফিজরা

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে পাঞ্জাব কিংসের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। যেখানে প্রথম ৫ বলে ১ রান দিয়ে নিকোলাস পুরান ও দীপক হুডাকে সাজঘরে ফেরান কার্তিক তিয়াগী। তাতে শেষ বলে জয়ের জন্য ৩ রান দরকার ছিল লোকেশ রাহুলের দলের। তবে সেটা করতে পারেননি ফ্যাবিয়েন অ্যালেন। তাতে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে রাজস্থান রয়্যালসকে ২ রানের জয় এনে দেন তিয়াগী।

এর আগের ওভারে অবশ্য দারুণ বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার দিয়েছিলেন মাত্র ৪ রান। তাতেই জয়ের আশা জিইয়ে ছিল রাজস্থানের। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজ ও তিয়াগীর দুই ওভারে জিতল সাঞ্জু স্যামসনের দল।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে পাঞ্জাব। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রানে যোগ করেন। চেতন সাকারিয়ার বলে ৪৯ রান করে রাহুল ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি।

৩৩ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলার দিনে তিনটি জীবন পেয়েছিলেন রাহুল। যদিও সেটা কাজে লাগিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারেননি। রাহুল ফেরার আগেই অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন আগারওয়াল। তবে রাহুল ফেরার পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন আগারওয়ালও। ডানহাতি এই ওপেনার করেছেন ৪৩ বলে ৬৭ রান। ইনিংসটি খেলতে সাতটি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছেন তিনি।

দুই ওপেনার বিদায় নিলেও তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন নিকোলাস পুরান ও অ্যাইডেন মার্করাম। এই দুজনের জুটিতে থেকে ৫৭ রান আসলেও দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেনি। ১৯ ও ২০তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ও তিয়াগীর দারুণ বোলিংয়ে ২ রানের জয় পায় রাজস্থান। পুরান ৩২ রান এবং মার্করাম করেছেন অপরাজিত ২৬ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার এভিন লুইস ও যশস্বী জয়সওয়াল। উদ্বোধনী জুটিতে তাঁরা দুজন মিলে ৫৪ রান যোগ করেন। রাজস্থানের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে দারুণ করেন লুইস। যদিও শেষ পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া হয়নি।

সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ২১ বলে ৩৬ রান করে লুইস ফিরলে ভাঙে জয়সওয়ালের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি। তিনে নেমে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক স্যামসন। তবে চারে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে জয়সওয়ালের সঙ্গে যোগ করেন ৪৮ রান। ১৭ বলে ২৫ রান করে লিভিংস্টোন ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি।

শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি জয়সওয়ালের। হারপ্রীত ব্রার বলে তুলে মারতে গিয়ে ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরেন তরুণ এই বাঁহাতি ওপেনার। তবে পাঁচে নেমে ১৭ বলে ৪৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন মাহিপাল লমরোর। শেষ দিকে দ্রুতগতিতে উইকেট হারালে ১৮৫ রানে অল আউট হয় রাজস্থান। পাঞ্জাবের হয়ে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং।

Facebook
Twitter
LinkedIn