অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই অনেকেরই। যাদের ওজন বেশি তারা খাওয়া নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। কম খেয়ে ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এমন উদাহরণও কম নয়। তাছাড়া ব্যায়াম করতে গিয়ে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করেও বিপাকে পড়তে হয়। এতে ওজন তো কমেই না বরং শরীরিক জটিলতা ভর করে।
তাই ডায়েট বা শরীরচর্চা করার আগে বেশি প্রয়োজন হলো প্রতিদিনের জীবনযাপনের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা। কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে অতিরিক্ত ওজন থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এগুলো যে খুব বড়সড় অভ্যাস, তা কিন্তু নয়। ছোট ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই অভ্যাসগুলো বদলে দেখুন, কীভাবে ওজন কমতে শুরু করে।
- অতিরিক্ত ওজনের ক্ষেত্রে চিনি ভীষণ ক্ষতিকর। প্রতিদিন যদি খাবারের তালিকা থেকে চিনি বাদ দেন, তাহলে ওজন কমার লক্ষ্যে খুব ভালো ফল পাবেন। প্রয়োজনে চিনির বদলে খাঁটি গুড় খেতে পারেন অল্প করে।
- ঠাণ্ডা পানি পানের পরিবর্তে হালকা গরম পানি পান করলে, এটি শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে ওজন কম রাখতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানি পানে শরীরের টক্সিন দূর হয়ে যায় এবং মেটাবোলিজম বাড়তে থাকে।
- কর্মক্ষেত্রে যারা দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজ করেন তারা অন্তত ৩০ মিনিট পর পর কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করুন। এক জায়গায় বসে থাকার চেয়ে ৫০০ স্টেপস হাঁটুন। এতে চর্বি ঝরবে সহজেই। সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে।
- যারা নিয়মিত ফলের রস পান করেন, তারা চেষ্টা করুন গোটা ফল খাওয়ার। কারণ তাতে ফাইবার সমৃদ্ধ থাকে। আস্ত ফল খেলে হজম ভালো হয় এবং শরীরের পাচন তন্ত্রে সাহায্য করে।
- দুপুরের খাবার একেবারেই বাদ দিবেন না বা সময়ের অভাবে না খেয়ে থাকবেন না। মানে সময়ের খাবার সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। না খেয়ে থাকলে শরীরের ওজন না কমে উল্টে বাড়ে। তাই দুপুর দুইটার মধ্যে খাবার সেরে নিন। কম খাবেন না কিন্তু পরিমাণমত খাবেন।
- রাত করে বেশি খাবার কখনো খাবেন না। রাত ৮ থেকে ৯টার মধ্যে হালকা পাতলা সহজে হজম হয় এমন কিছু খাওয়ার চেষ্টা করবেন। অনেকেই মনে করেন ৮ টা নাগাদ খাওয়া সব থেকে আদর্শ তবে এটি না পারলেও বেশি দেরি করবেন না
- সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুব দরকার। এবং সূর্যোদয়ের অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা পর ওঠার অভ্যাস করুন। ঘুমের সময় দেহ ডিটক্সিফাই হয়, সে কারণেই সঠিক পরিমাণে ঘুমনোর দরকার।
- সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণে ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা করা ভীষণ প্রয়োজন। সেটা যোগব্যায়াম হোক কিংবা হাঁটা বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা। যেটা ভালো লাগে করার চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে সাইকেলিং, জগিং, সাঁতারও করতে পারেন। এই কয়েকটি অভ্যাস প্রতিদিন বদলে দেখুন, ওজন তো কমবেই, শারীরিক ভাবেও সুস্থ থাকবেন ।