শেষ ওভারে জিততে ৭ রান প্রয়োজন ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের প্রথম বলেই স্কুপ করে চার মারেন সাকিব আল হাসান। পরের বলে ১ রান নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৩ বলে যখন ১ রান দরকার তখন সিঙ্গেল নিয়ে কলকাতাকে ৪ উইকেটের জয় এনে দেন সাকিব। এই জয়ে ফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কলকাতা।
এর আগে উইকেট না পেলেও সাকিব এই ম্যাচে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে তিনি খরচা করেছেন মাত্র ২৪ রান। এদিকে বল হাতে ৪ উইকেট নেয়ার সঙ্গে ব্যাট হাতে ২৬ রান করে কলকাতার জয়ে বড় অবদান রেখেছেন সুনীল নারিন।
জয়ের জন্য ১৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করেন কলকাতার দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ভেঙ্কেটেশ আইয়ার। উদ্বোধনী জুটিতে তাঁরা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪১ রান। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা গিলের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। গিল এদিন আউট হয়েছেন ১৮ বেল ২৯ রান করে। ইনিংসটি খেলতে চারটি চার মেরেছেন ডানহাতি এই ওপেনার।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রাহুল ত্রিপাঠি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ৫ বলে ৬ রান করে। ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও দলের ভীত শক্ত করে সাজঘরে ফিরেছেন আইয়ার। পেসার হার্শাল প্যাটেলের বলে আউট হওয়া আইয়ার করেছেন ৩০ বলে ২৬ রান। যেখানে মাত্র একটি ছক্কা মেরেছেন। এরপর নারিন ও নীতিশ রানা মিলে গড়েন ৩১ রানের জুটি। ২৫ বলে ২৩ রান করা নীতিশকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন যুবেন্দ্র চাহাল।
পাঁচে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন নারিন। ব্যাটিংয়ে নেমে ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। নারিন ২৬ রান করে ফেরার পর দীনেশ কার্তিক আউট হয়েছেন ১২ বলে ১০ রান। শেষ দিকে সাকিব ৯ ও মরগান ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালোই শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাডিকাল। এই দুজনের জুটি ভেঙেছেন কিউই পেসার লকি ফার্গুসন। তিনি ১৮ বলে ২১ রান করা পাডিকালকে বোল্ড করে ফিরেছেন। এরপর তিন নম্বরে নামা শ্রীকর ভারত বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি মাত্র ৯ রান করে নারিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ভেঙ্কটেস আইয়ারকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে কোহলি ৩৩ বলে ৩৯ রান করে ফিরেছেন। এরপর দ্রুত আউট হয়ে গেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সও। তিনি ৯ বলে ১১ রান করে বোল্ড হয়েছেন। এই দুজনকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন নারিন।
গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে নারিনের চতুর্থ শিকার হয়েছেন। শেষদিকে শাহবাজ আহমেদ ১৩ রান করে ফার্গুসনের বলে শিভাম মাভিকে ক্যাচ দিয়েছেন। ক্রিস্টিয়ান ৯ রান করে রান আউট হলে রানের গতি শেষেও বাড়াতে পারেনি বেঙ্গালুরু। হার্শাল ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত।