মাস খানেক আগে নিরাপত্তার অজুহাতে সিরিজ না খেলেই পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তাতে ক্রিকেটারদের জন্য পাকিস্তান কতটা নিরাপদ তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ২০০৯ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে দেশটি। ২০২৩ সালে ভারতে মাঠে গড়াবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। আইসিসির বৈশ্বিক আসরটির আগে পাকিস্তানে ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো।
এদিকে ২০২২ সালের শেষভাগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া। সে কারণে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আগামী বছরের এশিয়া কাপ আয়োজিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) এশিয়ার ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) মিটিং শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জয় শাহ।
২০২৩ সালে পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজনের বিষয়ে অটল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তান ব্যতিত অন্য কোনো ভেন্যুতে আসরটি আয়োজিত হোক তেমনটি চায় না দেশটি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তেমন দাবির বিরোধিতা করেনি বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। সর্বসম্মতিক্রমেই এশিয়া কাপ আয়োজনের বিষয়ে পাকিস্তানকে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে নিজেদের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানে কয়েকবছর আন্তর্জাতিক ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। সে কারণে পরবর্তীতে আর কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান।