আজ ২৪ অক্টোবর, জাতিসংঘ দিবস। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে।
জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ শুভক্ষণে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি অটল থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। বিগত ৭৬ বছরে জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নসহ বহু ক্ষেত্রে মানব জাতির সমৃদ্ধিতে পাশে থেকেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রূপ লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় ঘোষণা ‘বাঙালি জাতি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করছে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সব মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে’- আমাদের জনগণের জন্য নির্দেশনামূলক নীতি হিসেবে কাজ করে।
১৯৪৫ সালের এই দিনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে জাতিসংঘ। তার আগে গঠিত লিগ অব নেশনস বিলুপ্ত হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরেকটি সংস্থা গঠনের তীব্র প্রয়োজন অনুভূত হয়। মূলত তা থেকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতার এই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি গঠিত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রায় চার বছরের চেষ্টা ও ধারাবাহিক আলোচনার প্রেক্ষাপটে ১৯৪৫ সালের এই দিনে প্রাথমিকভাবে ৪৬টি সদস্য দেশ জাতিসংঘ সনদকে অনুসমর্থন দেয়। পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।