জ্বালানি তেলে সরকার ভর্তুকি দিলেও তা সরকারের ওপর চাপ হয়ে উঠছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, সরকার আর কত ভর্তুকি দেবে? কিছুটা তো ভোক্তাদের শেয়ার করতেই হবে। সরকারকে আয় করে তারপর ব্যয় করতে হয়। যখন দাম কমে আমরা কমাই, যখন বাড়ে আমরা বাড়াই। সরকার যতটা সম্ভব নিজে বহন করে, যখন দেখা যাচ্ছে যে আর পারা যাচ্ছে না, তখন সবাই মিলে বহন করি।
গতকাল অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরাসরিই বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ‘পুরোটাই যৌক্তিক’।
মহামারির কারণে দুই বছরের অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতির মধ্যে চলতি মাসে এক লাফে ১৫ টাকা (২৩ শতাংশ) বাড়িয়ে দেয়া হয় ডিজেলের দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ডিজেলের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ কারণে পরিবহনের ভাড়াও বাড়াতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর বাসভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বরাত দিয়ে এক সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, বাস পরিচালনায় ৪০ শতাংশ খরচ হয় জ্বালানি বাবদ। সেক্ষেত্রে জ্বালানির খরচ ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ভাড়া কেন বেড়ে গেল ২৭ শতাংশ। অনুপাতের হিসাবে এটা তো ১০ শতাংশ বাড়ার কথা।
উত্তরে মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী বৈঠকে এর উত্তর দেব। উইদাউট এনি বেসিস করেছে কি না আমি দেখব। একজন নাগরিক হিসেবে, একজন অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমি বলছি, আমি খতিয়ে দেখব।