নির্বাচনে জয়ী হওয়ার এক দিন পরে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই গাইবান্ধার নবনির্বাচিত মেম্বার মো: আব্দুর রউফ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব-১৩।
রোববার দুপুরে র্যাব-১৩ রংপুর সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
এর আগে শনিবার রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাচপীর নামক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মো: আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, বটি এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব-১৩।
ব্রিফিংয়ে র্যাব-১৩-এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানায়- আরিফের ২ জন স্ত্রী ছিল। কিন্তু তারা আরিফের কাছ থেকে চলে গেছে। স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় মেম্বার আব্দুর রউফের হস্তক্ষেপ আছে। এ নিয়ে রউফ মেম্বারের সাথে বিরোধ হয় আরিফের। তারই জের ধরে আরিফ রাউফ মেম্বারকে হত্যা করে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আরিফের রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়, সে একজন অপরাধি, সেটাই মুখ্য বিষয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, খুব দ্রুতই গ্রেফতারকৃত আরিফ মিয়াকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে। চাঞ্চলক্যর এ ঘটনার সব কিছুই আইনশৃঙ্খল বাহিনী তদন্ত করবে। এছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযানের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আরিফ লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুরার কুঠি গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য রউফ তার প্রতিবেশী রুহুল আমিনের সাথে মোটরসাইকেল যোগে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে আরিফ নামের ওই যুবক তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে হত্যা করে। আরিফ খাদ্য অফিসের সাবেক পিয়ন ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ দিকে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে শনিবার গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকা অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। ওই এলাকায় এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।