২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:৫৬
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১:৫৬

ম্যান অব দ্য সিরিজ ওয়ার্নার

এবারের বিশ্বকাপ আসরে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের চেয়ে কম রান করেও ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। এ পুরস্কারকে পাকিস্তানের সমর্থকরা আইসিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক হিসেবে দেখছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা সমালোচনামুখর হয়েছে। 

বাবর আজম ৬ ইনিংসে ৩০৩ রান করেন। আর ডেভিড ওয়ার্নার ৭ ইনিংসে করেন ২৮৯ রান। বাবর আজমের গড় রান ছিল ৬০.৬০ রান, আর ওয়ার্নারের গড় হলো মাত্র ৪৮.১৬ রান। বাবর আজম এবারের বিশ্বকাপে ৪টি হাফসেঞ্চুরি করেন। আর ওয়ার্নার এবারের বিশ্বকাপে মাত্র ৩টি হাফসেঞ্চুরি করেন। দুজনই ওপেনিং করেন আর দুজনই পুরো আসরে একবার করে অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন।

আর এবারের আসরে ফিল্ডিংয়েও বাবর আজম ছিলেন ওয়ার্নারের দিক দিয়ে এগিয়ে। বাবর আজম ৬ ম্যাচে ক্যাচ ধরেছেন ৪টি আর ওয়ার্নার ৭ ম্যাচ খেলে ক্যাচ নিয়েছেন মাত্র ৩টি।

এসব দিক বিবেচনা করে স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অব সিরিজের দাবিদার ছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার বাবর আজম। কারণ ট্রফি যেই জিতুক  ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পরাজিত দলের খেলোয়াড়দের দেওয়ার রেওয়াজও বিগত বিশ্বকাপগুলোতে দেখা গেছে। 

বাবর আজম ম্যান অব দ্য সিরিজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেছেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিড স্টার শোয়েব আখতার। তিনি বলেন, বাবর আজমকে ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট পুরস্কার না দেওয়া (আইসিসির) অগ্রহণযোগ্য।

ওয়াকাস আমজাদ নামে পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা টুইটারে বলেন, বিসিসিআইয়ের প্রভাবে বাবর আজম এগিয়ে থেকেও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। 

সাদ আরসালান সাদিক নামের একজন টুইটবার্তায় পরিসংখ্যান তুলে ধরেন-২০১৬ সালে ভারত সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও বিরাট কোহলি ২৭৩ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার পেয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া পাকিস্তানের বাবর আজম ৩০৩ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েও ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট হতে পারেননি। এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn