সুদানে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন ক্রমশ বাড়ছে। তারই মধ্যে আল জাজিরার ব্যুরো চিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্যই তাকে গ্রেফতার এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
রোববার কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুদানে তাদের ব্যুরো চিফকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের সেনা সরকার। এর আগে তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য সেনা সরকার কিছু জানায়নি। আল জাজিরাও সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্যই গ্রেফতার হয়েছেন ওই সাংবাদিক।
সাংবাদিকের নাম আল মুসল্লামি আল কাব্বাশি। রোববার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। তবে পরিবারের আর কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মাসখানেক আগে সুদানে সেনা অভ্যুত্থান হয়। শাসন ক্ষমতা দখল করেন আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। বেশ কিছু মন্ত্রী এবং নাগরিক সমাজের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পরে জাতিসঙ্ঘের চাপে চার মন্ত্রীকে ছেড়েও দেয়া হয়।
সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই সুদানে নাগরিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশ গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সুদানের বেশ কিছু গণমাধ্যমও তা সমর্থন করছে। গত শনি ও রোববার রাজধানীসহ একাধিক জায়গায় বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। অভিযোগ, নিরস্ত্র মানুষের বিক্ষোভ বন্ধ করতে তাদের উপর গুলি চালিয়েছে সেনা এবং পুলিশ।
নাগরিক সমাজের একাংশের বক্তব্য, আল জাজিরার ব্যুরো চিফ গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বলেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল।
জাতিসঙ্ঘ প্রথম থেকেই সেনা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। একাধিক বিষয়ে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে। সাংবাদিককে গ্রেফতার নিয়ে জাতিসঙ্ঘ কোনো কথা বলে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
সূত্র : ডয়চে ভেলে