মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের টানা তিন ঘণ্টার অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৯৫ জন অবৈধ অভিবাসী আটক হয়েছেন। আটকদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ ও ৪৩ জন নারী রয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) গভীর রাতে দেশটির জালান দেওয়ান সুলতান সুলাইমান-১ এর পাঁচতলা দোকানঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
অভিযানে প্রাথমিকভাবে ১৫০ জন অভিবাসীকে আটক করা হলেও বৈধ কাগজপত্র থাকায় ৫৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরি ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর স্যামসুল বদরিন মহসিন জানিয়েছেন, আটকরা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের নাগরিক। তবে আটকদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আরও জানান, অভিযান চালানোর আগে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের কার্যকলাপ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল দেশটির এফোর্সমেন্টের কর্মকর্তারা। আটকরা বেশিরভাগই নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল। তাদের অনেকের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং কারো কারো কাছে কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি ছিল না, যারা অবৈধভাবেই দেশটিতে বসবাস করছিল।
তিনি জানান, এছাড়া আটক এ অভিবাসীদের বাসস্থানটিও ছিল খুব বিপজ্জনক। যেখানে বৈদ্যুতিক তার এবং জলের কলের সংযোগগুলি সঠিকভাবে যুক্ত ছিল না। নির্মাণ মালিকেরা বোর্ড ব্যবহার করে শ্রমিকদের জন্য পাঁচটিরও বেশি ছোট কক্ষ তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেগুলোতেই তারা ভাড়া থাকতো। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রেও কক্ষগুলো ছিল খুবই অনিরাপদ।
আটক ব্যক্তিদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। দেশটির ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬ (১) (সি) এবং ১৫ (১) (সি) এর অধীনে আটকদের বিষয়ে আরও তদন্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।