২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:৩২
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৭:৩২

পণ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়লো ১৫ শতাংশ

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) নামক লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নৌপথে সারাদেশে পণ্য পরিবহনে ভাড়া ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি, যা গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয় ।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পণ্য নৌপথে সবচেয়ে বেশি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মেঘনা, মুক্তারপুর, কাঁচপুর, আলীগঞ্জ ও নিতাইগঞ্জ এলাকায় নেওয়া হয়। এসব জায়গায় প্রতি টন পণ্য পরিবহনের ভাড়া এখন ৪১৫ টাকা। তাতে ১৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর ফলে টনপ্রতি পণ্য পরিবহনে ব্যয় বেড়েছে ৬২ টাকা ২৫ পয়সা

তবে জাহাজের মাস্টার ও জাহাজ পরিচালনাকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে দেড় হাজার টন পণ্য পরিবহনের একটি জাহাজে গড়ে তিন হাজার লিটার ডিজেল দরকার হয়। সেই হিসাবে ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ায় প্রতি যাত্রায় খরচ বেড়েছে ৪৫ হাজার টাকা। দেড় হাজার টন পণ্য পরিবহন হলে তাতে টনপ্রতি খরচ বাড়ে ৩০ টাকা। আর যদি ১ হাজার ২০০ টন পরিবহন হয়, তাহলে খরচ বাড়ে টনপ্রতি ৩৭ টাকা।

নৌপথে পণ্য পরিবহনের সিংহভাগই সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল। বাংলাদেশে নৌপথে পণ্য পরিবহনের বড় কেন্দ্রস্থল হলো চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে লাইটার জাহাজে করে বন্দরের বহির্নোঙর থেকে সোয়া ছয় কোটি টন আমদানি পণ্য সারাদেশে নেওয়া হয়। ডব্লিউটিসির আওতাধীন জাহাজে এবং শিল্পমালিকদের নিজস্ব জাহাজে এসব আমদানি পণ্য নেওয়া হয় সারা দেশে। শিল্পমালিকদের জাহাজে শুধু নিজেদের আমদানি পণ্য পরিবহন করা হয়। নদীপথে সাধারণত ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, সার, নির্মাণসামগ্রী ইত্যাদি পরিবহন করা হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn