ব্যস্ত শহরে বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার। সেই সুযোগে এক শ্রেণীর মুনাফা ভোগী ব্যবসায়ী শহরের যেখানে পাড়ছে বসে যাচ্ছে, নামী-বেদামী কোম্পানীর সিলিন্ডার গ্যাস নিয়ে । শুধু প্রাণেকেন্দ্র ঢাকা’ই নয়, সারা দেশেই একই চিত্রপট। রাস্তার আশে পাশে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে –
এলিপিজি গ্যাসের দোকান বেড়েই চলেছে । বলার অপেক্ষা রাখে না। ঢাকায় এমন কোন লোকালয় নেই, যেখানে এলপি গ্যাসের দোকান চোখে পড়বে না ?
এটা ‘বিস্ফোরক জাতীয়’ বলেই, ভয়ও বেশি । যে কারণে, অনেকে মনে করেন, এই ব্যবসার স্থান হওয়া উচিত, লোকালয় থেকে দূরে ? কিন্তু ভাবতেও অবাক লাগে ! এই ব্যবসার পজিশন ইদানীং স্কুল কলেজের সন্নিকটেও শুরু করে দিয়েছে অনেকে? কেউ কোমলমতি সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তা কথা একটি বারের জন্যও ভাবছে না। এর দায় কিছু অবিবেচক ব্যবসায়ী শ্রেণীর, যারা এই ‘বিস্ফোরক গ্যাস বাণিজ্য’ নিয়ে বসে যাচ্ছে যার যেখানে খুশি সেখানে ! তাই শতভাগ জীবনের ঝুঁকিতে আছে নাগরিক জীবন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আজকাল নাগরিক চলাচলের ফুটপাতও এলপি গ্যাসের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের দখলে জিন্মি। অথচ যে কোন ফুটপাত ও এলপি গ্যাসের দোকান ঘেষে কিন্তু রোজ শত শত সন্তান নিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতে হয় মায়েদের।
বড় ধরনের দূর্ঘটনার আগেই, বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনের কাজ করা উচিত। নামীদামী এলপিজি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। কাউকে ডিলারশীপ দেবার আগে ‘নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তার’ বিষয়টি ভাবতে হবে- সবার আগে। দেশবসী ঝুকিপূর্ণ শহর চায় না। চায় নিরাপদ প্রাণকেন্দ্র। ঝুঁকিমুক্ত শহর।
মারুফ আহমেদ (বিশেষ প্রতিনিধি)