আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত আলোচিত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন- এমন অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল হোটেল ওয়েস্টিনে বিল হিসাবে জমাকৃত সাড়ে তিন কোটি টাকা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধারকৃত ৬০ লাখ টাকা ও নরসিংদীর একটি বাড়ি।
এ অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২০ জুলাই বিশেষ ব্যবস্থায় পাপিয়া ও তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে কাশিমপুর জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক, জাল টাকার ব্যবসা, বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচারসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হোটেল ওয়েস্টিনে চারটি কক্ষ চার মাস ৯ দিন ভাড়া, খাবার, আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট বিল হিসাবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিনে ১১ জন নিয়ে নিয়মিত থাকেন তিনি।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বাকিরা হলো, পাপিয়ার স্বামী, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।